প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩, ০১:৫৬ এএম
দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা যারা রক্ষা করতে চাচ্ছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের জন্য এসিড টেস্ট বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতি (অ্যাটকো) এর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন। ওই সময় রাষ্ট্রপতি এ মন্তব্য বলেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বেসরকারি ৩১টি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকরা। তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব শেষে বক্তব্য রাখেন মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, সমাজ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। আগামী দিনে কোন চেতনায়, কাদের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে, এ বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে টেলিভিশনগুলোকে।
মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিন। নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময়কালে অনেক পরিবর্তন এসেছে, এ সময়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে।
দেশের তৃণমূল পর্যায়ে গণমাধ্যমের ব্যাপক উপস্থিতির উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতাবিরোধী চক্র যাতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে কোনভাবেই বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে তিনি সে লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম অবশ্যই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। একইসঙ্গে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমকে তুলে ধরবে।
দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কেউ যাতে ছদ্মাবরণে ও চতুরতার সাথে আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করতে না পারে সেজন্য এই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সামনে দ্বাদশ নির্বাচন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য এটি একটি এসিড টেস্ট। তাই গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং কোন ধারার জনপ্রতিনিধি আবশ্যক তা ঠিক করতে এবং জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকোর সহসভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন চৌধুরী ১১-সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অ্যাটকো সভাপতি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
এডিএস/