প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম
মিথ্যা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ভুয়া লেনদেন দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সিগনেচার ব্যতিক্রম দেখানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমার রাষ্ট্রীয় সিগনেচার ফরেনসিক করে দেখা হোক।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, কাগজের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের গল্প সাজানো হয়েছে। যেহেতু দুদক তদন্ত করছে, তারা সেটা জানতে চায়, তাই লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। যা যা জানতে চেয়েছে সব জবাব দিয়েছি।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, মিথ্যা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ভুয়া লেনদেন দেখানো হয়েছে। এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে যেন ছোট করা না হয়। ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি দেখানো হয়ছে। অথচ উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ ৬৫০ কোটি টাকা। আর সে টাকায় উন্নয়ন কাজ এখনো চলমান।
আজমত উল্লাহকে গাজীপুরের নগর উন্নয়নের চেয়ারম্যান করায় ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক মেয়র বলেন, তাকে সব কাজে সহযোগিতা করা হবে।
এর আগে সকাল ১০টায় দুদক কার্যালেয়ে হাজির হন জাহাঙ্গীর আলম। এরপর দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
ভুয়া ব্যাংক হিসাবে টাকা অবৈধভাবে লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে জাহাঙ্গীর আলমকে গত ১৬ মে নোটিশ দেয় দুদক।
উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ এবং ভুয়া অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের অভিযোগে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
গত ১৮ মে দুদকের তলবে হাজির হতে এক মাস সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মঙ্গলবার হাজির হতে বলা হয়।
এর আগে, গাজীপুরের সাবেক এ মেয়রের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি তদন্তে দুই সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ১৫ মে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। এর আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তাকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
পরে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমাও করা হয়েছিল।
জেকেএস/