• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

উষ্ণতার জন্য মানুষের কৃতকর্মকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম

উষ্ণতার জন্য মানুষের কৃতকর্মকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিদিনকার মতো নতুন একটি দিনের বার্তা নিয়ে সূর্য আসে ঠিকই, কিন্তু সূর্যের এই আগমন মানুষকে আর আন্দোলিত করে না। বরং করে তোলে আতঙ্কিত। কেননা সকাল থেকেই শুরু হয় রোদের প্রখরতা। যা চলতে থাকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত। এমনকি সূর্য ডুবে গেলেও রেখে যায় ভয়ঙ্কর তাপদাহ। যার উষ্ণতা হারাম করে দেয় রাতের ঘুম। বিরূপ পরিস্থিতির জন্য মানুষের কৃতকর্মের ফলকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা।

গত কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশের মানুষ। তবে গরমের আঁচ বুঝি রাজধানী ঢাকায় একটু বেশিই। গরমের তাপে কঠিন বন্ধ হওয়ার উপক্রম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এমনকি কাজকর্ম।

পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের বনভূমি কমেছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। আর তাপমাত্রা গড়ে প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেড়েছে। এছাড়াও নানা পরিবর্তন হয়েছে দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু ও পরিবেশের। আর তাই সাম্প্রতিক এই উষ্ণতার জন্য শুধুমাত্র এককভাবে প্রকৃতিকে দায়ী করতে নারাজ আবহাওয়াবিদরা। তাদের মতে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশও।


সমগ্র দেশের চিত্র থেকে এবার দৃষ্টি দেয়া যাক রাজধানীর দিকে। প্রায় দেড় হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এক রাজধানী শহর ঢাকা। কয়েককোটি মানুষের এই আবাসস্থলজুড়ে শুধুই কংক্রিট আর ইট পাথরের স্তূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অট্টালিকা, বাড়ছে শিল্প কলকারখানা। সমান তালে কমছে বনভূমি। কমছে জলাধারও। সবমিলিয়ে বর্তমান বিরূপ পরিস্থিতির জন্য মানুষের কৃতকর্মের ফলকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, আগামী আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সরাসরি প্রভাব বিষিয়ে তুলছে দেশের সার্বিক পরিবেশ। পাশাপাশি ঢাকাসহ সারা দেশের বনভূমি ও জলাধার কমাসহ কলকারখানা বৃদ্ধির প্রভাবে দিনে দিনে উষ্ণতা বাড়ছে। এমন তাপদাহ থেকে পরিত্রাণের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান প্রয়োজন। আর এর দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান জন্য বৃক্ষরোপণসহ সামগ্রিক পরিবেশের ওপর যত্নশীল হতে হবে।


এডিএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ