• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ৭ বছরে শেষ হয়নি নির্মাণকাজ

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ১১:১৩ পিএম

প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ৭ বছরে শেষ হয়নি নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামালপুরে দুই দফা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করেও ৭ বছরেও শেষ হয়নি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণকাজ। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জামালপুরসহ আশপাশের ৪ জেলার ৫০ লক্ষাধিক মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, জামালপুরসহ পার্শ্ববর্তী শেরপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও টাঙ্গাইল জেলার কয়েকটি উপজেলার ৫০ লক্ষাধিক মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে শহরের মনিরাজপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত ৭ বছরে ৩৪ একর জমির ওপর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, নার্সিং কলেজ ও বিভিন্ন আবাসিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে এখনো শুরু হয়নি হাসপাতালের মূল ভবনের নির্মাণ কাজ।

দীর্ঘদিনেও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ শুরু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, ২০১৪ সালে মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়েছে। এর সঙ্গে আরও ৩-৪টি মেডিকেল কলেজ চালু হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে ক্যাম্পাস চালু হয়নি। আমরা অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সদর হাসপাতালে ক্লাস করছি। এখান থেকে ওই হাসপাতাল ক্যাম্পাস ৩ কিলোমিটার। প্রতিদিন এতদূর যাতায়াত করে ক্লাস করা কষ্ট কর।


স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, মেডিকেল কলেজ চালু না হওয়ায় রোগী নিয়ে তাদের ময়মনসিংহ ও রাজধানীতে যেতে হচ্ছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, মেডিকেল কলেজ চালু না হওয়ার কারণে জেনারেল হাসপাতালের ওপর চাপ বেড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন বলেন, ভারতীয় নমনীয় ঋণের আওতায় আমাদের হাসপাতাল ভবন থাকায় এখনও দরপত্র আহ্বান করা যায়নি। এখন ডিপিপি দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। হাসপাতালটি এখন জিওবি খাতে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আমরা ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে হাসপাতালসহ অন্যান্য ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের মোট ৩০টি ভবনের মধ্যে ২৬টির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দুইবার। ৭২৩ কোটি টাকা থেকে এখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা।


এডিএস/

আর্কাইভ