প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ০৫:১০ পিএম
নতুন করে সম্ভাবনাময় পাঁচটি শ্রমবাজার পেলো বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলেছে হংকং, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও উজবেকিস্তানে।
নির্মাণ খাত, কেয়ার গিভিং ও কৃষিসহ বেশ কয়েকটি খাতে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী নেবে দেশগুলো। নিরাপদ পরিবেশ আর উচ্চ বেতনের চাকরিতে অংশ নিতে পারবেন শুধু দক্ষ কর্মীরাই। জনশক্তি রফতানি বাড়াতে এসব দেশের সঙ্গে চেষ্টা চলছে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের।
দেশের কোটি তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার ছাড়িয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টি এখন ইউরোপ ও এশিয়ার উন্নত দেশগুলোর দিকে। আর এ তালিকায় বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে হংকং, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও উজবেকিস্তানের।
আয়তনে ছোট হলেও বিশ্বের ৪০তম অর্থনীতির দেশ পাহাড় আর সাগরঘেরা হংকং। ২০১৩ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে স্বল্প পরিসরে নারী কর্মী যান দেশটিতে। বর্তমানে কেয়ার গিভিং খাতে হংকংয়ে বাংলাদেশি নারী কর্মীদের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এমন তথ্য দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। নিরাপদ কর্মপরিবেশ আর উচ্চ বেতনের চাকরি পেতে ইচ্ছুকদের বাধ্যতামূলক জানতে হবে ক্যান্টনিজ ভাষা ও কেয়ার গিভিংয়ের প্রশিক্ষণ।
সম্প্রতি সিটি নিউজ ঢাকাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মনিরুছস সালেহীন বলেন, হংকংয়ের প্রতিনিধিরা এসে দেখেশুনে তারপর নিয়ে যান কর্মী। ওখানকার বেতন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো।
এদিকে ইউরোপের বাণিজ্যকেন্দ্র নামে পরিচিত বেলজিয়ামেও চাহিদা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশি কর্মীর। বিশ্বের ২৩তম অর্থনীতির দেশটিতে শিগগিরই কর্মী পাঠানো শুরু হবে। ইউরোপে কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকারের অব্যাহত চেষ্টার অংশ হিসেবে ১৩তম অর্থনীতির দেশ অস্ট্রেলিয়া ও ৫০তম দেশ নিউজিল্যান্ডেও তৈরি হয়েছে জনশক্তি রফতানির সুযোগ।
সচিব ড. আহমেদ মনিরুছস সালেহীন বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছি, সেগুলোতে নির্মাণ সাইট এবং ফ্যাক্টরিতে কাজ করবে। এখনও কর্মী পাঠানো শুরু হয়নি। তবে যাবে, আলোচনা হচ্ছে। ক্রমে ইউরোপের অন্য যেসব দেশ আছে, সেখানেও পাঠানোর চেষ্টা করা হবে।’
কৃষিখাতে কর্মী সংকটে ভুগতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার খামারগুলোতে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে দেশটির বাংলাদেশ মিশন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায় উন্নত দেশটি।
দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে সারা দেশে ৭০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একযোগে চলছে কর্মী প্রশিক্ষণ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে রেকর্ড বিদেশে ১০ লাখ ৮৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
জেকেএস/