প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ০১:২৪ এএম
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধারাবাহিকতায় আগামী দিনে প্রযুক্তিপণ্য রফতানির বড় খাত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শনিবার (৩ জুন) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের সংগঠন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলাম ডিজিটাল দেশ গড়বো। আমরা তা করে দেখিয়েছি। শুধু পোশাক নয়, আগামী দিনে ডিজিটাল ডিভাইস ও প্রযুক্তিপণ্য আমাদের প্রধান রফতানিপণ্য হবে, এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও রফতানির জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়তেও সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এখন স্কুল পর্যায়ে ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে। বিদ্যুৎ আমরা প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছি। এর সুবিধা নিয়ে তরুণ সমাজ ঘরে বসে প্রযুক্তি বিষয়ক কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনে আমরা প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে যাবো।
এ সময় নাগরিকরা নিজের করণীয়টা করে গেলে কেউ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ঠেকাতে পারবে না উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে স্যাংশান দেবে, ও নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরো অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। আমরা সেসব মহাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবো।
জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের কল্যাণে ত্যাগ করলে, তার মূল্যায়ন করে জনগণ। দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা কিন্তু তারেক জিয়াকে ভিসা দেয়নি। তারাই এখন আবার ওদের পেছনে ধরণা দিয়ে বেড়াচ্ছে।
যুদ্ধ, করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জ্বালানি সংগ্রহে বেগ পোহাতে হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। তবে এখন গ্যাস, তেল ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভোগান্তি বেড়েছে। যুদ্ধ, করোনা ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জ্বালানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সুখবর হলো কাতার এবং ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। শিগগিরই জ্বালানি হাতে পেলে কষ্ট দূর হবে।
জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একবার কেউ বিদ্যুতে অভ্যস্ত হলে তা না পেলে ভোগান্তি বাড়ে। আমরা সব ধরনের সমস্যা কাটিয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কাজ করছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হচ্ছে। কারণ যে খরচ যায় তার বিপরীতে আমরা অর্ধেক খরচ নিচ্ছি। পানির পরিশোধনেও একই অবস্থা জানিয়ে সবাইকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
জেকেএস/