প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ০১:১৩ এএম
গরিবের কষ্টের করের টাকায় ঢাকায় ধনীরা কেন সুবিধা পাবে এমন প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ঢাকায় পানি ও বিদ্যুতের দামে ভর্তুকি দেয়ার পক্ষে তিনি নন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর প্ল্যানার্স টাওয়ারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ‘২৮ বছরে রাজধানীর জলাধার ও সবুজ নিধন: বাস্তবতা ও উত্তরণের পথনকশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘গুলশানে বাস করে পানির দাম দেবেন ১৫ টাকা আর বিদ্যুতের দাম দেবেন ৬ টাকা, এতেও কষ্ট হয়। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ১৩ টাকা, আর পানিতে প্রায় ২৬ টাকা। সেখানে পানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ালেই আন্দোলন শুরু হয়। আমার প্রশ্ন, কেন আমি এসব ভর্তুকি দিয়ে চালাবো। গরিবের করের টাকায় ঢাকার বড়লোকরা সুবিধা নেবে, এর পক্ষে আমি না।’
বিভিন্ন ইস্যুতে সুশীলদের সমালোচনা আরও নরম করার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা সুশীল সমাজে রয়েছেন, আপনাদের সমালোচনা আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আপনাদের সমালোচনাটা আরও নরম হলে ভালো হয়। আপনাদের সমালোচনা অনেক কঠোর এবং নৃশংস হয়ে যায়।
জনগণের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি ৭ শতাংশ সড়ক। পেয়েছি অনেক অব্যস্থাপনাও। এসব কাটিয়ে উঠতে কাজ করে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন আপনি যদি মানবিক না হয়ে শুধু দোষ দেন, তবেতো সমস্যার সমাধান হবে না। ঢাকায় যতটুকু সড়ক প্রয়োজন তা কিন্তু নেই। এই সড়ক বাড়ানোর সুযোগও আমাদের নেই। তবে যে সড়ক রয়েছে, তার সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণে আমরা কাজ করতে পারি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি পরিকল্পনা করেছিলাম যে, পাঁচ হাজার লোকের বিপরীতে একটি বিদ্যালয় হবে। এতে করে শিক্ষাসেবা সবার কাছে পৌঁছে যাবে। কিন্তু বর্তমানে ৫০ হাজার লোকের বিপরীতে একটি বিদ্যালয় নেই।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের অনেক বেশি ব্যর্থতা ছিল, অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু সেই জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশ আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। আমি শপথ করে বলতে পারি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও হয়নি।
জেকেএস/