প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ০১:০৪ এএম
দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি নাগরিকরা নিজের করণীয়টা করে গেলে কেউ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩ জুন) তেজগাঁয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে স্যাংশন দেবে, ও নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। আমরা সেসব মহাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব।’
জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের কল্যাণে ত্যাগ করলে, তার মূল্যায়ন করে জনগণ। দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা কিন্তু তারেক জিয়াকে ভিসা দেয়নি। তারাই এখন আবার ওদের পেছনে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।’
যুদ্ধ, করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জ্বালানি সংগ্রহে বেগ পোহাতে হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। তবে এখন গ্যাস, তেল ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভোগান্তি বেড়েছে। যুদ্ধ, করোনা ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জ্বালানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সুখবর হলো–কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। শিগগিরই জ্বালানি হাতে পেলে কষ্ট দূর হবে।’
জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একবার কেউ বিদ্যুতে অভ্যস্ত হলে তা না পেলে ভোগান্তি বাড়ে। আমরা সব ধরনের সমস্যা কাটিয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কাজ করছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ, যে খরচ যায় তার বিপরীতে আমরা অর্ধেক খরচ নিচ্ছি। পানির পরিশোধনেও একই অবস্থা, তাই সবাইকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।’
জেকেএস/