নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১০৬ শ্রমিকের করা শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একইসঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যক্রমে ৬ মাসের জন্য স্থিতিবস্থা থাকবে বলেও আদেশ দেন আদালত।
এদিন আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।
শুনানি শেষে গোলাম রব্বানী শরীফ বলেন, গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। এ রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।
জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ২০০৬-২০১৩ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে।
কিন্তু এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে শ্রমিকরা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু তাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা শ্রম আদালতে মামলা করেন।
এরপর গত ৩ এপ্রিল গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।
এডিএস/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন