• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাগেরহাটে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ১০:১৭ পিএম

বাগেরহাটে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে বেড়ে চলছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। বাগেরহাট ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে ৪ বেডের অনুকূলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী। রোগীর চাপে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় পুরাতন ভবনের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত তিন দিন আগে কচুয়া উপজেলার গজালিয়া থেকে আসা ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০ মাসের জিহাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থায় আগের একটু ভালো বলে জানান ওই শিশুর মা নিপা বেগম।

সদর উপজেলার পশ্চিম সায়ড়া গ্রামের ইরানী বেগম তার তিন বছর বয়সী মেয়ে সাবিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বমি, তারপরে পাতলা পায়খানা শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। গত তিন দিন হাসপাতালে রয়েছি।’

জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগ ডায়রিয়া রোগীদের একই অবস্থা দেখা গেছে।


বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিহান মাহমুদ বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। বর্তমানে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। সুপেয় পানি ও ডাবের পানিসহ তরল খাবার খায়ানো এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. জব্বার ফারুকী বলেন, ‘আতঙ্কিত হবার কারণ নেই। যদিও বর্তমানে ৪ বেডের অনুকূলে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।’

জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ায় বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আইভি স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধও যথেষ্ট রয়েছে।’

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ২৬০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোতে ৮২৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্তের রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু। প্রচণ্ড গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দূষিত পানি পানের ফলে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তবে আইভি স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধও যথেষ্ট পরিমাণে আছে।’


এডিএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ