প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ০৩:০১ এএম
শিক্ষার বাজেট বাড়লে শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো কিছু করার সুযোগ তৈরি হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট শিক্ষা বাস্তবায়নেও তা সহযোগী হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সঙ্গে অনেক মাধ্যম জড়িত। তাই শুধু শিক্ষার বাজেট নিয়ে কথা বললে হবে না। অন্যান্য বিষয় নিয়েও কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট শিক্ষার জন্য বিদ্যুৎ, যাতায়াত ও খাদ্য ভালো হতে হবে। তবেই স্মার্ট শিক্ষার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। শিক্ষাকে স্মার্ট করতে সবকিছুর সমন্বয় প্রয়োজন। তাই স্মার্ট শিক্ষার জন্য সবার অংশগ্রহণ দরকার। এভাবেই স্মার্ট শিক্ষার মাধ্যমে তৈরি হবে স্মার্ট নাগরিক। আর স্মার্ট নাগরিক মানেই স্মার্ট বাংলাদেশ।
দীপু মনি বলেন, আমরা কতটা সমৃদ্ধ হবো, তা নির্ভর করবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জীবন-জীবিকার গতানুগতিক ধারণাকে পাল্টে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা স্বপ্ন দেখি স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক হবে বৈশ্বিক নাগরিক। যেখানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রের জন্য যেমন উপযুক্ত ও দক্ষ করে গড়ে তুলবে, তেমনি আমরা গড়ে তুলতে পারব সৃজনশীল ও মানবিক মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে কাজ করে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। এটি সম্ভব হয়েছে সঠিক পরিকল্পনার কারণে। তাই পরিকল্পনা মাফিক যদি কাজ করা যায় তাহলে সফলতা আসবেই।
স্মার্ট বাংলাদেশ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের আগের শিক্ষা ব্যবস্থা পাল্টে এখন নতুন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য আমাদের দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তর করা। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা আশাবাদী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব।
আমরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই বড় হয়েছি। দেশকে স্বাধীন করেছি। সামনেও আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।
জেকেএস/