প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০৭:৩৫ এএম
করোনাভাইরাস নিয়ে সব ধরনের বিধিনিষেধ বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতদিন বিদেশ থেকে আসতে হলে যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহনের প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হতো। আর কারও ভ্যাকসিন দেয়া না থাকলে করোনা পরীক্ষা করে দেশ আসতো হতো।
বিধিনিষেধ বাতিলের ফলে এখন করোনা পরীক্ষা কিংবা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে না। বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডর শাহ কাওছার আহমেদ চৌধুরীর ২৫ মে জারি করা এক সার্কুলারে এতথ্য জানানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ ও বাংলাদেশ ছাড়ার সময় কোনো যাত্রীকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে না। কোনো যাত্রীকে আরটি-পিসিআর কোভিড টেস্ট বা হেলথ ডিক্লারেশন ফরমও পূরণ করতে হবে না। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক পড়ার বিধিনিষেধও শিথিল করা হলো।
বেবিচক আরও জানায়, সর্বসাধারণের জন্য মাস্কের বিধিনিষেধ তুলে ফেলা হলেও যারা হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মতো সংবেদনশীল জায়গায় কাজ করেন, তাদের মাস্ক পড়তে হবে। যাত্রী পরিবহনে বড় বা ছোট এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে যাত্রী আনা-নেয়ার সংখ্যায়ও কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে যাত্রীরা যেসব দেশের উদ্দেশে যাবেন তাদের সেসব দেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধ মানতে হবে।
হজযাত্রীদের উদ্দেশে সার্কুলারে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে। মার্স ভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা থাকায় সবাইকে উট থেকে দূরে থাকতে হবে।
এর আগে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে অনলাইনের হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হতো যাত্রীদের। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর এ নির্দেশনা বাতিল করে বেবিচক। তখন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও করোনা পরীক্ষার কিংবা ভ্যাকসিন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা নেই। যাত্রী যে দেশে যাবেন, সে দেশের নির্দেশনা অনুসরণ করবেন।