প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম
পার্বত্য অঞ্চলের অশান্ত পাহাড়কে এবার শান্ত করবে একটি সড়ক। নাম তার ‘সীমান্ত সড়ক’। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তিনটি পর্যায়ে নির্মাণাধীন সড়কটির প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার সড়ক এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া–শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশের নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটি পার্বত্য এলাকায় আস্তানা গেড়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে চুক্তিবদ্ধ হয় তারা।
যৌথ অভিযানে হিন্দালের সদস্যরা অনেকটা কোণঠাসা হলেও পাহাড়ে এখনও সক্রিয় কেএনএ বা কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি। সম্প্রতি কেএনএ-র আইইডি বা পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিতে নিহত হন দুই সেনা সদস্য। হিন্দাল বা কেএনএ ছাড়াও নামে-বেনামে আরও অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় পাহাড়ে। যে কারণে মাঝে মাঝেই রক্তাক্ত হয় সবুজ পাহাড়।
লোকালয়ে এসে অপরাধ করে গহিন পাহাড়ে অনায়াসেই সটকে পড়ছে দুষ্কৃতকারীরা। যোগাযোগব্যবস্থার দুর্বল দশার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অপারেশন চালাতে বেগ পেতে হয়। তবে সেই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাবে একটি সড়ক। এমন আশা এ সড়ক তৈরির দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্নেল ভূঁঞা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার।
এডিএস/