প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ০১:০৭ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে দারিদ্র্য মোচনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
বুধবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে অতি দরিদ্রদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্যের হার ছয় ভাগেরও নিচে নেমে এসেছে, যা সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
বিএনপি-জামায়াত সরকার দেশের কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে কিছুই করেনি মন্তব্য করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তারা কৃষক ও সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে কাজ করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কোনো আপস করেননি। বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে তিনি কৃষিখাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও গত বছর সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন, যা পৃথিবীতে বিরল।
তিনি বলেন, কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি ও সহযোগিতার ফলেই ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য দেশেই উৎপাদন করা যাচ্ছে। তা না-হলে প্রতিবছর চাল আমদানি করেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সিংহভাগ খরচ হয়ে যেত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘উপকূল, হাওড়, চরাঞ্চলসহ প্রতিকূল এলাকায় এখনও জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি দারিদ্র্য রয়েছে। এসব প্রতিকূল এলাকায় ফসল ফলানো খুবই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। সে জন্য এসব প্রতিকূল এলাকায় ফসল উৎপাদনে আমরা খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এ ক্ষেত্রে ইইউ-পিকেএসএফের প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি।
ইইউকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোরও আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের এনজিওর সঙ্গে কাজ করার প্রবণতা বেশি। দেশের সব এনজিওতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে, বিষয়টি এমন নয়। কাজেই, এনজিওর কাজ কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।
জেকেএস/