• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

কঠোর অবস্থানে পুলিশ, রিকশার দখলে রাজপথ

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২১, ১০:৫৫ এএম

কঠোর অবস্থানে পুলিশ, রিকশার দখলে রাজপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউন চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। জনগণকে বিধিনিষেধ মানাতে সকাল থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

অন্যান্য দিন চেকপোস্টগুলোতে হাতেগোনা দু-চারজন থাকলেও আজ প্রতিটি চেকপোস্টে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বরত অবস্থায় দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ডিসি পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সকাল থেকে মাঠে থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরতরা।

লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাল্টে গেছে রাজধানীর চিত্র। সড়কে নেই অন্যান্য দিনের মতো অফিসমুখী মানুষের চাপ, নেই যানবাহনের ছুটে চলা, বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।

গণপরিবহন না থাকায় লকডাউনে রাজধানীতে চলাচলের বড় ভরসা রিকশা। বেশি ভাড়া দিয়েই যানবাহনটিতে চড়তে হচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের। রাজধানীর রামপুরা এলাকায় রিকশার ভাড়ার বিষয়ে এক যাত্রী বলেন, ‘যাইতে পারতেছি, এটাই বেশি। আমাদের কিছুই করার নাই। বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও যেতে হবে।

সরেজমিনে রাজধানীর শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি-৩২, পান্থপথ কলাবাগান এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। স্থাপন করা হয়েছে একাধিক চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। জরুরি প্রয়োজনে যারা সড়কে বেরিয়েছেন তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের।

সড়কে যেসব গাড়ি চলাচল করছে সেগুলোর অধিকাংশই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, অ্যাম্বুলেন্সখাদ্য পণ্যবাহী ট্রাক, সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী যানবাহন জরুরি সেবায় নিয়োজিত মোটরসাইকেল। তবে সময়ে অলিগলি সড়কে কিছু রিকশার চলাচল দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়বে।

ট্রাফিক পুলিশের ধানমন্ডি জোনের উপকমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সম্মিলিত টহল চলবে। কেউ যেন অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হয় এবং ঘোরাফেরা না করে সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে।

সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) . বেনজীর আহমেদ।

বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে ভার্চুয়ালি সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার থানার অফিসার ইন-চার্জসহ সব ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২১টি শর্ত যুক্ত করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

সবুজ/এএমকে

আর্কাইভ