প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম
মেট্রোরেল চালুর পর থেকে এর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিল কর্তৃপক্ষ। এবার সে চিন্তা দূর হলো সরকারের ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ গঠন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার মাধ্যমে। একজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে ২৩১ জন নিয়ে গঠিত হচ্ছে এমআরটি পুলিশ।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব নূর-এ-মাহবুবা জয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের এ ইউনিটটি গঠনে একজন উপমহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে ২৩১ জনের জনবল চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমআরটি মেট্রোরেল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি ক্যাডার পদ ও ২২৮টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ২৩১টি পদ এবং ১৫টি যানবাহন টিওএন্ডইভুক্তকরণ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কাজের জন্য: একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার, দুজন পরিদর্শক, একজন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), একজন ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (সশস্ত্র), তিনজন এএসআই (নিরস্ত্র), চারজন এএসআই (সশস্ত্র), পাঁচজন নায়েক, ১০ জন কনস্টেবল, একজন কম্পিউটার অপারেটর, একজন হিসাবরক্ষক, একজন উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক দুজন।
এমআরটি লাইন-৬-এর জন্য পদ: একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ছয়জন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), ৩৪ জন এএসআই (নিরস্ত্র) ও ১৫৩ জন কনস্টেবল।
এমআরটি পুলিশ গঠনের জন্য নয় শতাধিক জনবলের প্রস্তাব তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল পুলিশ সদর দফতর। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর ৩৫৭ জনবলের সুপারিশ সচিব কমিটিতে জমা দেয়া হয়। এরপর সচিব কমিটি ২৩১ জনবলের অনুমোদন দেয়।
উদ্বোধনের আগে ও উদ্বোধন-পরবর্তী সময়ে এমআরটি পুলিশ গঠনের আগপর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ও থানা পুলিশের নিরাপত্তার মাধ্যমে চলছিল মেট্রোরেল।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে দুষ্কৃতকারীরা মেট্রোরেলকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে মেট্রোরেলের একটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের এখনও আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকারের হাইকমান্ড। যেকোনো উপায়ে দুর্বৃত্তদের ধরতে বলা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এরই মধ্যে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন চূড়ান্ত করেছে সরকার।
এডিএস/