• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাইকো দুর্নীতি: খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি ৩০ মে

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম

নাইকো দুর্নীতি: খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি ৩০ মে

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি ৩০ মে দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৩ মে) হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত রোববার (২১ মে) এ মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম।

ওইদিন  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

গত ১৭ মে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা আবেদনপত্রটি জমা দেন; এতে বিচার শুরুর আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।

মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে বেগম জিয়াসহ অন্য আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ৫ মে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলা হওয়ার ১৫ বছর পর গত ২৯ মার্চ বেগম জিয়াসহ ৮ জনের বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার বিবরণ:
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনে দুদক।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ