প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩, ০১:১৮ এএম
তরুণ-তরুণীদের অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
সোমবার (২২ মে) মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণীদের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস করে ব্ল্যাকমেইলিং এবং সেসব ভিডিও দেশ-বিদেশে ক্রয়- বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত টেলিগ্রামকেন্দ্রিক দেশের বড় একটি চক্রের মূলহোতাসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
সিআইডি প্রধান জানান, এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এরইমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু একটি অ্যাকাউন্টেই এক কোটি টাকার ওপর পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে হাজারো কোমলমতি তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করে তাদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছেন তারা।
তিনি আরও জানান, এর আগে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছিলেন, তাদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আইডি হ্যাক করে পমপম নামের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ তাদের গোপন ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে তাদের ব্লাকমেইল করছে, অর্থ দাবি করছে। অর্থ দিতে না পারলে ভিডিও কলে এসে আপত্তিকর কর্মকাণ্ড করতে বাধ্য করছে। আর কোনো প্রস্তাবে সাড়া না দিলে ভিকটিমদের নাম-পরিচয় আর ব্যক্তিগত তথ্যসহ লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবারের টেলিগ্রাম গ্রুপগুলোতে ভাইরাল করে দিচ্ছে।
অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে গোয়েন্দা তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে চক্রটিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে সিআইডি। গ্রুপটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের কাছ থেকে যে কেবল টাকা আয় করে তা নয়, চক্রটি ওইসব ভিডিও দেশে-বিদেশে বিক্রি করেও কোটি টাকা আয় করেছে বলে জানান সিআইডি প্রধান।
তিনি আরও বলেন, সাইবারে ২৪ ঘণ্টা পেট্রলিং করি। সাইবার অপারাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই পাই, তা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেই। তবে মিডিয়া ব্রিফিং তখন করি, যখন তা পুরো দেশবাসীকে সচেতন করার প্রয়োজন হয়।
শিগগিরই এ গ্রুপের সব কার্যক্রম বন্ধ করা হবে বলেও জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
জেকেএস/