প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ১২:২৩ এএম
হজ ফ্লাইটে ফিরতি পথে যাত্রী আনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম।
রোববার (২১ মে) কুর্মিটোলার বলাকা ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শফিউল আজিম বলেন, ‘হজ উপলক্ষে চারটি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তাই ফিরতি পথে যাত্রী আনার কোনো সুযোগ নেই। সৌদি আরবের নিয়মেই চলতে হয় আমাদের। যদি গ্রাউন্ড টাইমিংয়ের এক ঘণ্টা লেট হয়, তবে ২ লাখ ২০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হয়।’
এ সময় ফ্লাইট স্বল্পতা থাকায় সেগুলো বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান শফিউল আজিম। তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ লাভ করেছে ৪৫৯ কোটি টাকা।
বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে এমডি বলেন, ‘বিমান ভাড়া বাড়ানোয় অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। তবে ভাড়া পাশের দেশের তুলনায় কম। কলকাতা থেকে যে হজ ফ্লাইটের ভাড়া ধরা হয়েছে, তা আমাদের চেয়ে ২৫০ ডলার বেশি।’
শফিউল আজিম বলেন, ‘বোয়িংয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করছি দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশের নেতৃত্বের ওপর বিদেশি কোম্পানির আস্থা আছে।’ এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কোম্পানি এয়ারবাস তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাইলটের লাইসেন্সের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাইলটের লাইসেন্সের জন্য যারা ট্রেনিংয়ে এসেছিল, তাদের অনেকেই উত্তীর্ণ হয়নি। বিমানের প্রতিটি নিয়োগ হচ্ছে স্বচ্ছতার সঙ্গে। যত বড় জায়গা থেকেই ফোন আসুক না কেন, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গেই বিমানের প্রতিটি নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে।’
পাইলটের দেশত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কথিত পাইলট দেশত্যাগ করেছে। তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। বিচারের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী আমরা। বিমানে বিচার রয়েছে। কাউকে খুশি করার জন্য যেমন শাস্তি দেয়া হবে না, তেমনি কাউকে খুশি করার জন্য ছেড়েও দেয়া হবে না।’
শফিউল আজিম আরও বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালে বিমানের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং স্পেস কম হওয়ায় আমাদের দূরে থাকতে হতো। তবে থার্ড টার্মিনাল হয়ে গেলে চাপ আরও কমবে। এয়ারপোর্ট ম্যানেজমেন্ট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এক নয়। আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে।’
জেকেএস/