প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩, ০৩:০৩ এএম
সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সাত বাংলাদেশি। শুক্রবার (১৯ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই সাত তরুণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনী কাজের মাধ্যমে সমাজ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি বাংলাদেশের সাত তরুণ উদ্যোক্তা বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন `ফোর্বস` এর তালিকায় স্থান করে নেওয়ায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের জন্য আধুনিক ও গবেষণামূলক শিক্ষা, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থানের যে বিস্তৃত ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় এদেশের তরুণরা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের গৌরবান্বিত প্রতিনিধিত্ব করছে।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ সংগঠক, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকের তালিকা প্রকাশ করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২০২২ সালে শীর্ষ এশীয়দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ১০টি ক্যাটাগরিতে ৩০ জন করে মোট ৩০০ তরুণ। এর মধ্যে রয়েছেন ৭ বাংলাদেশিও।
এতে স্থান পাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, আজিজ আরমান, রুবাইয়াৎ ফারহান, তাসফিয়া তাসবিন, জাহ্নবী রহমান, দীপ্ত সাহা, আনওয়ার সায়েফ এবং সারাবান তহুরা।
এদের মধ্যে আজিজ আরমান অনলাইনে গাড়ি ভাড়া করার অ্যাপ যাত্রীর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কনজিউমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে সেরা ৩০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। গত বছর ঢাকা বাস মালিক সমিতি ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করতে সম্মত হয় এবং যাত্রীর মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৬৫০টি বাসে ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়। ২০২১ সালে কোম্পানিটি ১২ লাখ ডলার বিনিয়োগ পায়।
ফোর্বসের শীর্ষ ৩০ তরুণের তালিকায় জায়গা করে নেয়া সাত বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সৃজনশীল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মার্কোপলো ডটএআই-এর স্থপতি রুবাইয়াৎ ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন। তারা দুজন স্থান করে নিয়েছেন মিডিয়া, মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভারটাইজিং ক্যাটাগরিতে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে থাকে মার্কোপলো ডটএআই। ২০২২ সালে কোম্পানিটি ভেনচার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ‘সিঙ্গাপুর ভিসি’ থেকে সাত লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পায়।
কৃষকদের ডিজিটাল সরবরাহ চেইনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং তাদের ডিজিটাল দুনিয়ায় পরিচিত করতেই দীপ্ত সাহা গড়ে তুলেছিলেন অ্যাগ্রোশিফট টেকনোলজিস। তিনিও কনজিউমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ৩০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল এনে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে গত বছর চালু হয় প্রতিষ্ঠানটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রিল্যাক্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাহ্নবী রহমান। তিনি ফোর্বসের উদীয়মান ৩০০ এশীয়দের মধ্যে সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছেন শীর্ষ ৩০ জনের মধ্যে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশি তরুণদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সহায়তা দিয়ে থাকে রিল্যাক্সি।
এর আগে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাত্র ৯ জন বাংলাদেশি ফোর্বসের সম্মানজনক এ তালিকায় জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। পরে ২০২১ সালেই ৯ জন বাংলাদেশি তরুণ উঠে যান ফোর্বসের পাতায়। এবার ২০২২ সালের তালিকায় স্থান হয়েছে আরও ৭ বাংলাদেশির।
এডিএস/