নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন দেশে আসবে। ২০২২ সালের মধ্যে আরও ৭ কোটি করোনাভাইরাসের টিকা দেশের হাতে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের দেয়া ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের সংকট থাকবে না। এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে আসবে ১০ কোটি ভ্যাকসিন। আরও ৭ কোটি ভ্যাকসিন আমরা আগামী বছর নাগাদ পেয়ে যাব।'
তিনি বলেন, 'ডিসেম্বরের মধ্যে যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন আসবে, তা দুই ডোজ হিসাব করে দেশের পাঁচ কোটি নাগরিককে প্রয়োগ করা হবে। বাকি ভ্যাকসিন এলে পর্যায়ক্রমে সেগুলোও সবাইকে প্রয়োগ করা হবে।'
জাহিদ মালেক বলেন, 'এটা হাতে পেলে তা দিয়ে ভ্যাকসিন নেয়ার উপযোগী সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় চলে আসবেন।'
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে দেশে আবারও টিকাদান কর্মসূচি শুরুর কথা জানিয়েছে সরকার। চীনের সিনোফার্মের তৈরি উপহারের ১১ লাখ টিকা দিয়ে শুরু হচ্ছে টিকাদান। আগামী সপ্তাহে চীনের সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। তার আগে উপহারের টিকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছে সরকার।
পাশাপাশি বাংলাদেশকে ফাইজারের এক লাখ টিকা উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেই টিকার প্রয়োগও শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই টিকা মধ্যপ্রাচ্যে কাজের জন্য যাওয়া কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিকে দেয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।
তার আগে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দিয়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল সরকার। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজের মধ্যে বাংলাদেশ পায় মাত্র ৭০ লাখ টিকা।
এর পাশাপাশি ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার দেয় ৩৩ লাখ টিকা। যা দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করলেও সিরাম বাংলাদেশকে আর টিকা না দিলে টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়।
অনেকেই প্রথম ডোজের পর আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা পায়নি। তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে সিনোফার্মের টিকাদান শুরু হয়েছে।
সম্রাট/নির্জন
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন