প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৩, ০২:৫৮ এএম
গণমাধ্যমকর্মীদের যে কোনও সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাসহ বিভিন্ন সংকটে গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তায় সরকার পাশে ছিল জানিয়ে, ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৫ মে) জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করেছি। আজ অনেকেই টেলিভিশন ও পত্রিকার মালিক। তাদের অনেক বিত্ত আছে। তাদের কর্মীদের ভালো-মন্দ দেখার মতো তাদের সক্ষমতা আছে। এখানে আমাদের বেশিকিছু করার নেই। এরপরেও যেকোনও যৌক্তিক দাবির বিষয়ে আমাদের জানান। আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করবো।’ তবে এক্ষেত্রে নিজেদের সমস্যা নিয়ে নিজেদের কথা বলার জন্য সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকতা করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও সাংবাদিকতা করেছেন। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মীদের প্রতি আমার বিশেষ অনুভূতি কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সরকার খুবই আন্তরিক। এরপরেও কোনও বিষয়ে কিছু বলি না। তবু শুনতে হয়, কথা বলার অধিকার সংরক্ষণ করি না। কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছি। কিন্তু মুক্ত গণমাধ্যমের সুযোগ নিয়ে ঠিকই পত্রিকায় তারা লিখতে পারেন, টকশোতে বসেও টক টক কথা বলেন।’
রিজার্ভ সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডলার সংকট তো সারা বিশ্বেই রয়েছে। করোনার সময় আমাদের জাতীয় কেনাকাটাসহ সবকিছু বন্ধ ছিল, তাই ডলার কম খরচ হয়েছে। সেজন্য তখন ডলারের মজুত বেশি ছিল। করোনার পর বৈশ্বিক অর্থনীতি খুলে গেছে। আমাদের ক্রয় বেড়েছে, ডলার খরচ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রিজার্ভ নিয়ে বলতে বলতে সবার মাথায় এটা ঢুকে গেছে। আমাদের রিজার্ভ এখনও যা আছে তাতে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের এমন কোনো সংকট নেই। আমরা সবসময় রিজার্ভ ধরে রাখারই চেষ্টা করি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা দেশের ভালো দেখতে পারে না। তারা চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতেও বধির। হয় এটা তাদের জ্ঞানের অভাব অথবা দূরভিসন্ধি।’
তবে এসব ষড়যন্ত্রে দমে না গিয়ে কাজ করে যাওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের বাংলাদেশকে ২০২৩ সালের বাংলাদেশে আমরা টেনে এনেছি। আজকের বাংলাদেশের দিকে নজর দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। আজ আমাদের অতি দরিদ্রের হার ৫.৬। আমরা একে শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সরকার কাজ করছে। এ কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে বিএনপি তা চাইতো না। তারা ভিক্ষের জন্য খাদ্য নির্ভরশীলতা অর্জনে বিশ্বাসী ছিল না। তারা চাইতো বিদেশ থেকে ভিক্ষে করতে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশের কৃষির মেরামত শুরু করি। আজ আমাদের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।’
ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় আজ আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দিনে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ শুরু করেছি। এটা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতেও কাজ করছি।
তিনি বলেন, আজ গ্রামের কৃষকরাও ফোনের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক সেবা নিতে পারছেন। ডিজিটাল সেবা সেন্টার থেকে তারা দ্রুতই সেবা পাচ্ছেন। এর মধ্যদিয়ে সবক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
জেকেএস/