প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৩, ০৮:৪৮ পিএম
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ও ঘিঞ্জি শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ইট-পাথরের বুনটে ঠাঁসা এ শহর এতটাই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেছে যে, ভূমিকম্প হলে ঢাকার মানুষ কোথায় যাবে, কীভাবে বাঁচবে, তার কোন উপায় দেখছেন না স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
ঢাকার নগরায়ণ নিয়ে ক্ষোভ আর আক্ষেপ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তুরস্কে ভূমিকম্পের সময় সেখানকার মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে আশ্রয় নিয়েছে; আর ঢাকায় কোন মাঠও নেই, শুধু ভবন আর ভবন। বড় ভূমিকম্প হলে তো আমাদের মাথায় সব বাড়ি ভেঙে পড়বে, আমরা কীভাবে বাঁচবো?’
সোমবার (১৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বক্তব্য দেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘এই শহরকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। দিন যাচ্ছে, আর ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হচ্ছে। এখন কোন খেলার মাঠ নেই, পার্ক নেই, পুকুর-জলাশয় নেই, গাছপালা নেই। বড় কোন ভূমিকম্প হলে এই শহরের মানুষ কোথায় আশ্রয় নেবে?’
তাই দ্রুত এ শহরকে বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থার পাশাপাশি নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তাজুল ইসলাম।
সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া ঢাকার সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ৩ মাসের মধ্যে চিহ্নিত করা হবে বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এরপরই ভাঙা শুরু হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার খরচ ভবন মালিকের কাছ থেকেই আদায় করা হবে।
একই অনুষ্ঠানে নগরবিদ ইকবাল হাবিব ঢাকাকে ভয়ংকর ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ঢাকার কোটি নগরবাসী ঝুঁকি নিয়ে জীবন পার করছে। অথচ, ১৩ বছর আগে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড আইন প্রণয়ন হলেও তা বাস্তবায়নে কোনো কর্তৃপক্ষ গড়ে ওঠেনি। কিছুদিন পর পর এমন সেমিনার হয়, আর সেখানে কথা বলে সবাই দায়িত্ব শেষ করে।
এডিএস/