প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ১১:২৭ পিএম
ঘূর্ণিঝড় মোখা সমুদ্র পেরিয়ে কক্সবাজারের স্থলভাগে উঠে এসে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে। তবে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মোখার বড় অংশ মিয়ানমারে রয়েছে।
রোববার (১৪ মে) আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল ত্যাগ করবে মোখা। এদিকে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ১২০ থেকে ১৩০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিনে এখন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৭ কিমি। মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনের বাড়িঘর ও দুর্বল স্থাপনার রিসোর্ট ভেঙে পড়েছে। তবে প্রাণহানি বা অন্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে আবহাওয়া দফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ অতিক্রম করছে। আমরা বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ পেয়েছিলাম ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তবে এখন তা ১০০ কিলোমিটারের বেশি। সেখানে থাকা আমাদের কর্মীরা জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে সেখানকার ভবন কাঁপছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাতাসের গতি আরও বাড়বে।’
এদিকে সন্ধ্যা নাগাদ পুরো উপকূল অতিক্রম করবে মোখা। যদিও এর অগ্রভাগের প্রভাবে শনিবার গভীর রাত থেকেই উপকূলে শুরু হয় বিরূপ পরিস্থিতি।
এর আগে দুপুর ১টায় আবহাওয়া অফিসের সবশেষ ব্রিফিংয়ে পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, মোখার কেন্দ্রের আঘাত পড়ছে টেকনাফের ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে মিয়ানমার উপকূলে। এতে পুরো কক্সবাজার উপকূল হুমকিতে থাকলেও বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা নেই।
আবহাওয়া দফতর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।
এডিএস/