প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম
সময় সঙ্গে সঙ্গে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রবল শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গড় গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ২১২ কিমি।
শনিবার (১৩ মে) কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। মোস্তফা কামাল পলাশের এই ঘূর্ণিঝড় মোখার পূর্বাভাসটি ছিল বেলা ১১টায়।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ, ৮৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি। এ সময় বাতাসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ২১২ কিমি যা আজ সারাদিনই বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের চারপাশে সৃষ্টি হওয়া ঢেউয়ের উচ্চতা ৪৯ ফুট। চলার গতিবেগ ঘণ্টায় ১১ কিমি (উত্তর পূর্ব দিকে) এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বায়ুচাপের মান ৯৫৫ মিলিবার।
অন্যদিকে শনিবার আবহাওয়া অধিদফতরের ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর রোববার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জেকেএস/