প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০২:২৯ এএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা শুক্রবার (১২ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার পাঁচ কিলোমিটার দূরে (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে) অবস্থান করে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এই সময়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিক সময়ের মতো ছিল মানুষের আনাগোনা।
শুক্রবার বিকেলের দিকে দেখা যায়, হাজার হাজার পর্যটকের ভিড়। ঘূর্ণিঝড়ের দিকে তাদের তেমন খেয়াল নেই। কিছু কিছু পর্যটক সমুদ্রের নোনা পানিতে নেমে গোসল করছিল। অনেকেই ছোট শিশুদের নিয়েও সৈকতে ঘোরাঘুরি করেন।
ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘুরতে আসা মো. জাহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভ্যাপসা গরম। এ কারণে একটু ঘুরতে এসেছেন। তবে চলে যাবেন। ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানতে চাইলে জানান, সেটি তো এখন আসবে না। রোববার দুপুরে আঘাত করবে। এখনও অনেক সময় আছে।
শুক্রবার দুপুরে সৈকতের আকাশ কখনও মেঘলা কখনও রোদ। তবে মাঝে মাঝে বড় বড় ঢেউ উপচে পড়ছে সৈকতে। সমুদ্রের আকাশ কিছু মেঘলা। তারপরও সৈকত ছেড়ে যাননি পর্যটকরা। এতো সতর্কতার মধ্যেও লোকজনের ভিড় দেখা গেছে।
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও মেরিন ড্রাইভ ও রিং রোডে মানুষের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
কিছু কিছু পুলিশের টহল দেখা গেছে সৈকতে। তবে টুরিস্ট পুলিশ কিংবা কর্তৃপক্ষের তেমন তৎপরতা নেই পর্যটকদের নিয়ন্ত্রণে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিশেষ কোন প্রচারণা বা মাইকিং করতেও দেখা যায়নি যায়নি সৈকতে। তবে সন্ধ্যার পর পর পর্যটকদের সমুদ্র সৈকত ছেড়ে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে।
জেকেএস/