প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩, ০২:৪৫ এএম
বহুল ব্যবহৃত শব্দ ‘বৈদেশিক সহায়তা’র বদলে এখন থেকে ‘বৈদেশিক ঋণ’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের আত্মমর্যাদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারপ্রধান।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও এনইসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এবারের সভায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার কথা। আমরা ঋণ নিই, দান নয়। পরে আবার সুদে-আসলে ঋণের টাকা ফেরত দিয়ে দিই।’
এখন থেকে ঋণকে ঋণই বলতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ওপর অযথা শর্ত আরোপ করবেন না। এমন কখনো হয়নি, বাংলাদেশ ঋণ নিয়েছে কিন্তু ফেরত দিতে পারেনি। আমরা ঋণ নিয়ে সুদে-আসলে সে টাকা ফেরত দিই।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যাতে খাতক-মহাজনের না হয়। এ সম্পর্ক অংশীদারিত্বের। এখানে কেউ কাউকে সহায়তা নয়, বরং একধরনের অংশীদারি]ত্বের সম্পর্কের মধ্যে কাজ করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, “এখন থেকে খাতা-কলমেই ঋণকে ঋণ বলে উল্লেখ করা হবে, সহায়তা বলে নয়। এ ছাড়া যেসব অর্থায়নকে ‘এইড’ বলা হতো, তা এখন থেকে ‘গ্রান্ট’ বলা হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফরে বিশ্বব্যাংককে উপহার দেয়া পদ্মা সেতুর ছবি অন্য কোনো বার্তা দিচ্ছে কি না–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘কাউকে বিব্রত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জনের একটি। তাই সেটির ছবি বাঁধাই করে উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের হাতে তুলে দিয়েছেন।’
রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে বরাদ্দ কমানোর বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘এখন প্রকল্পের খরচ কমে এসেছে, তাই বরাদ্দ কম দেয়া হয়েছে। দিন যত যাবে, বড় বড় কাজ শেষ হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে খরচও কমে আসবে। তখন বরাদ্দও কমবে।’
জেকেএস/