প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। এ সময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষক আবহাওয়া পূর্বাভাসের দুটি মডেল বিশ্লেষণ করেছেন। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয় ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া খুলনা বিভাগের জেলাগুলোয় ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোয় ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোয় ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোয় ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
তার মতে, আগামী রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ‘মোখা’ ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে।
মোস্তফা কামাল পলাশ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মোখা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। তবে টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করার আশঙ্কা প্রবল।
এ জলবায়ু গবেষক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকাগুলো কত ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে তাও জানিয়েছেন। তার মতে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো ৭ থেকে ১০ ফুট এবং খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেকেএস/