• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাধারণ মানুষের জন্য দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান আইনমন্ত্রীর

প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৩, ১২:৫৫ এএম

সাধারণ মানুষের জন্য দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান আইনমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাধারণ মানুষের জন্য দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার (৬ মে) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৪৮তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগকে সবধরনের সহযোগিতার জন্য সরকার প্রস্তুত আছে। তবে মামলার দীর্ঘ সূত্রিতা কমাতে বিচার বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আমাদের চাওয়া থাকবে সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পান।  

প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের জুডিশিয়াল ডিসিপ্লিন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রতিষ্ঠত জুডিশিয়াল ডিসিশনগুলো মেনে না চললে জুডিশিয়াল অ্যানার্কি তৈরি হতে পারে। নিশ্চয়ই আমরা কেউই এই অ্যানার্কি চাই না। তার কারণ সমাজ ও দেশের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে।

বিচার বিভাগের জন্য বাজেট বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‌‘অন্য যেকোনো সরকারের চেয়ে বিচার বিভাগের জন্য বাজেট বাড়ানো হয়েছে। বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। এখন বিচারকদের দায়িত্ব মানুষ যেন দ্রুত বিচার পায়, তা নিশ্চিত করা।’

আনিসুল হক বিচারকদের আশ্বস্ত করে বলেন, প্রশিক্ষণের ধারা অব্যাহত থাকবে। শুধু তাই নয়, দেশে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিদেশেও বিচারকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি অব্যাহত থাকবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রধান লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা- যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। জাতির পিতা তার এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিজয়ের মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনের মাথায় সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতিকে যে অনন্য সংবিধান উপহার দেন, সেই সংবিধানের পরতে পরতে তার দর্শনের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়। 


এই সংবিধানের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান, সবাই আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী এবং ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ