প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩, ০২:৪২ পিএম
ভোর ছয়টা। রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষ তখনো ঘুমে। হঠাৎ স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ঢাকা। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ ৪.৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৫টা ৫৭ মিনিট ৮ সেকেন্ডে রাজধানীতে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার সিটি সেন্টার থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে দোহারে। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো জানা যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল দোহার থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ পূর্বে। যার গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
তবে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার প্রাথমিক জানিয়েছিল, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২। পরে তা কমিয়ে ৪ দশমিক ৩ বলে জানায়। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর আগে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এ ধরনের ছোট ছোট ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল (৩০ কিলোমিটার) এত কাছাকাছি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ একটি দেশ। এ ধরনের ছোট ছোট ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সাধারণত কাছাকাছি জায়গায় হয়ে থাকে। এর আগে কখনো ঢাকার এত কাছে উৎপত্তিস্থল ছিল কিনা তা আমার জানা নেই।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল অক্ষাংশ ২২ দশমিক ৯৩ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমা ৯৪ দশমিক ১৯ ডিগ্রি পূর্ব মিয়ানমারের মাউলাইকে। রাজধানীর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এর দূরত্ব ছিল ৪০০ কিলোমিটার।