প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩, ০৩:২৭ এএম
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় সন্তোষজনক ব্যাখা না দিতে পারলে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থীর আজমত উল্লা খানের কিছু না কিছু শাস্তি হতেই পারে বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৭ এপ্রিল। ওই দিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাঁচ জনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া আচরণ বিধিমালার লংঘন। এ ঘটনায় আজমত উল্লা খানকে আগামী ৭ মে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি তিনি ভঙ্গ করেছেন বলে গণমাধ্যমের ফুটেজ দেখে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সেজন্য তাকে আমরা নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলেছি আগামী ৭ মে। এক্ষেত্রে তিনি যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেন, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আর যদি না দিতে পারেন, তবে কিছু না কিছু শাস্তি তো হবেই। কী শাস্তি হবে তা নির্ভর করবে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায়। তিরস্কার যেমন শাস্তি তেমনি জেল-জরিমানা এবং প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও আছে আইনে।
মন্ত্রী-এমপিদের আচরণ-বিধি ভঙ্গের বিষয়ে ওই কমিশনার বলেন, অনেকেই হয়তো আইন-কানুন সম্পর্কে অবগত নন। সেজন্য আমরা মন্ত্রিপরিষদের মাধ্যমে তাদের অবগত করার জন্য চিঠি দিয়েছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়ম-কানুন সবাইকে মানতে হবে। আচরণ-বিধি না মানলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা ব্যবস্থা নেবেন। এরপর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও আছে কমিশনের। আমরা যে ধরনের মেসেজ দিচ্ছি আশা করি, তারা আচরণ-বিধি মেনে চলবেন।
জেকেএস/