প্রকাশিত: মে ২, ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম
ইয়াবার চেয়েও কয়েকগুণ ক্ষতিকর ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের বিশাল নেটওয়ার্ক এখন বাংলাদেশে। মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন কৌশলে ঢুকছে মাদকটি। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানান, আইস চোরাচালানের সব পথ এখনই বন্ধ করতে না পারলে ইয়াবার মতো এটিও ছড়িয়ে পড়বে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
গত মাসের ২৬ এপ্রিল উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চলতি মাসে এটিই আইসের সবচেয়ে বড় চালান। যার বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে আইসের বিস্তৃতি বাড়ছে। ২০১৯ সালে প্রথম আইসের চালান ধরা পড়ে। পরিমাণ ছিল মাত্র ০. ৫৬১ গ্রাম। ২০২০ সালে ০.০৬৫ গ্রাম। ২০২১ সালে ৩৬ কেজি। ২০২২ সালে ১১৩ কেজি। আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই প্রায় ৪০ কেজি আইস ধরা পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা সম্প্রতি সিটি নিউজ ঢাকা কে বলেন, মিয়ানমার থেকে আগে নাফ নদী হয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে আইস ঢুকলেও এখন আরও কয়েকটি নতুন রুট হয়েছে। ইয়াবার পরবর্তীতে দেশটি আইসের দিকে ঝুঁকছে। শুধু যে তারা টেকনাফ দিয়ে আমাদের দেশে পাঠাচ্ছে তা নয়, কারণ আমাদের দেশে যে চাহিদা আছে এ জন্য বিকল্প রুট তারা করেছে। তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের লিংক আছে। মিজোরাম থেকে ত্রিপুরা আসছে ল্যান্ড বর্ডার হয়ে সহজে বাংলাদেশে ঢুকছে।
তিনি আরও বলেন, আইসের প্রধান কাঁচামাল তৈরি হয় ভারত ও চীনে। মিয়ানমারের কাছে এসব কাঁচামাল বিক্রিতে আরও সতর্ক হলে দেশটিতে আইসের উৎপাদন অনেকটাই কমে যাবে।
আইনের এত কড়াকড়ির পরেও কেন বাড়ছে আইসের চোরাচালান?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, এখনই এ মাদকটির চোরাচালান রোধ করতে না পারলে ইয়াবার মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিষয়টি নিয়ে শূন্য সহনশীলতার কথা বলেছেন, সেটি অনুসরণ করে যদি দায়িত্বপ্রাপ্ততরা কাজ করতেন তা হলে অনেকটাই সুফল পাওয়া যেত।
বিএস/