প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ১২:৩০ এএম
বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিএনপি কিছুই করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি দেশের মানুষকে কোনো স্বপ্ন দেখাতে পারেনি। তাদের সৃষ্টিই হয়েছে অন্ধকার যুগে বসবাস করার জন্য। তারা বাঙালি জাতিকে শোষণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হুমকি দিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রাণিস্পদ অধিদফতর প্রাঙ্গণ থেকে বাংলাদেশের সব স্তরের সাধারণ ভেটেরিনারিয়ানদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যালি খামারবাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ করে।
বিএনপি গণতন্ত্রকে বলি দিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় দাবি করে নাছিম বলেন, দলটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তারা কখনও দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায় না। তারা পাকিস্তানের এজেন্ট ও সন্ত্রাসীদের মদতদাতা। বিএনপি নিজেদের পাকিস্তানের উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আনন্দ লাভ করে। তাই মাঝে মাঝে মুখ ফসকে তাদের পাকিস্তানপ্রীতি প্রকাশ পায়।
নাছিম বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল রায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করলে ভেটেরিনারি শিক্ষা ও ভেটেরিনারি পেশার উন্নয়নে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে গবেষণা, পশুপাখির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশে প্রাণিসম্পদের ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফদর ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এরইমধ্যে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এখন জনগণের কাছে মানসম্পন্ন ও নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকার ভেটেরিনারি সার্ভিসকে আরও শক্তিশালি করার জন্য ২০২০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অর্গানোগ্রাম পুনর্গঠন করেছে। নতুন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের ফলে অধিক সংখ্যক ভেটেরিনারিয়ানের ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ভেটেরিনারি সার্ভিস জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক দেয়া হয়েছে।
জেকেএস/