প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০২:৫৬ এএম
ঈদুল ফিতরের সাতদিনে (১৯-২৫ এপ্রিল) পদ্মা সেতু থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ২০ কোটি ৮৪ লাখ ৮২ হাজার ২০০ টাকা। এ সময়ে গাড়ি পারাপার হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ১৮৭টি। সেতু চালু হওয়ার পর ১০ মাসে টোল আদায় হয়েছে, ৬৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার ২২০ টাকা।
এদিকে ৯ মাস ২৩ দিন পর গত ২০ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়। ২৬ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত ছয় দিনে ৭৭ হাজার ৫২৯টি মোটরসাইকেল সেতু পারাপার করেছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে টোল দিয়ে সেতু অতিক্রম করে ৪৭ হাজার ৭০৯টি। জাজিরা প্রান্ত থেকে টোল দিয়ে সেতু পার হয় ২৯ হাজার ৮২০টি।
পদ্মা সেতুতে টোলে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিনুল হায়দার চৌধুরী জানিয়েছেন, সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপার শুরু হওয়ায় পৌনে এক কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগও লাঘব হয়েছে।
গত বছর ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালুর দিন কিছু মোটরসাইকেল আরোহীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও দুর্ঘটনায় দু জনের মৃত্যুর পর ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন জানান, নির্দিষ্ট লেন মেনে চলা, সেতুর মধ্যে না দাঁড়ানো, সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে বাইক চলানোসহ ছয়টি শর্ত আরোপ করা হয়। শর্ত ভঙ্গ করায় ৫৭ মোটরসাইকেলকে জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী বলেন, গত ১৯ এপ্রিল থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ে। ওইদিন সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ১৩৫টি যানবাহন পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার ২০০ টাকা। ২০ এপ্রিল ৩৪ হাজার ২৬৮ গাড়ি পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ রাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা। ২১ এপ্রিল ঈদের আগের দিন টোল আদায় হয়েছে সব চেয়ে বেশী। এদিন যানবাহন পারাপার হয়েছে ৩৫ হাজার ৫২৪টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, সব চেয়ে কম টোল আদায় হয়েছে ঈদের দিন ২২ এপ্রিল। এদিন যানবাহন পারাপার হয়েছে ২৩ হাজার ৮৪০টি। ঈদের দিন টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ৫০ টাকা। ২৩ এপ্রিল এ সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৩৬ হাজার ৫১৯টি। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ ৩ হাজার ৮০০ টাকা। ২৪ এপ্রিল ৩৩ হাজার ৬৩৭ যান পারাপারে আয় হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা। আর ২৫ এপ্রিল ৩২ হাজার ২৬৪ যান পারাপারে আয় হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫০ টাকা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার সেতু থেকে যেমন রাজস্ব বেড়েছে। একই সঙ্গে সেতু ব্যবহারে মানুষ উপকৃত হয়েছে।