• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রীয় সালাম ও গার্ড অব অনার দিয়েছে গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল।

বঙ্গভবনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধ যান। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন তিনি।

এদিকে গতকাল সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে গুলশানের বাসভবন ছেড়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গভবনে ওঠেন মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে ওইদিন বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথ পড়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 

শপথ শেষ হলে নথি হস্তান্তর এবং রীতিমাফিক চেয়ার বদল করা হয়। এ সময় বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চেয়ার ছেড়ে দিলে শূন্য সেই আসনে বসা মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হন।


৭৩ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। পরে ইসি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।


সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশ নেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে বিচার বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন।
 

ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি কারাবরণ করেন।


২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। ওই সময় হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাও ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক ছেলের বাবা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব।

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ