• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১০ বছর আজ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৩, ০৬:০২ পিএম

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১০ বছর আজ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাভারে রানা প্লাজার সামনে আলোচনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে মৃতদের স্মরণ করো, জীবিতদের জন্য লড়াই করো; দোষীদের শাস্তি দাও, জান বাঁচাতে ২৫ হাজার টাকা মজুরি করো, এই সব দাবিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সভা থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে ৩ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ঘোষণা করে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। প্রদর্শনীটি ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে।

আয়োজিত আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন রানা প্লাজার আহত শ্রমিক রূপালী আক্তার। প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন, নিহত শ্রমিক আঁখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন। এসময় রানা প্লাজায় নিহতদের স্বজন, শ্রমিক ও সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, রানা প্লাজার ঘটনা পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। সারা দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা। এই দুঃসহ স্মৃতি আমরা হারিয়ে যেতে দিতে চাই না। আমরা এই ভয়াবহ স্মৃতি, রানা প্লাজায় হতাহতদের শারিরীক, মানসিক ক্ষত সমস্তটাই পোশাক শ্রমিকসহ দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আমরা দুঃসহস্মৃতি থেকে শক্তি নিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ ও জীবিত শ্রমিকদের জন্য লড়াই করে যেতে চাই।

তারা আরও বলেন, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসে হাজারো শ্রমিক প্রাণ হারায়। অথচ ১০ বছরেও দোষী মালিক সোহেল রানাসহ অন্যান্যদের শাস্তি হয়নি। বিচারের এই দীর্ঘসূত্রিতা প্রমাণ করে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের জীবনের মূল্য নেই মালিক, সরকার ও বায়ারের কাছে। এক দশকেও ক্ষতিপূরণের আইনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। আহত অনেকেই এখনো শারিরীক ও মানসিক ক্ষতের চাপ বয়ে বেড়াচ্ছে। রানা প্লাজার ঘটনার পর মালিক সরকার বায়ার শ্রমিকের নিরাপত্তা, মজুরি ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিয়ে অনেক আওয়াজ তুলেছে।

বাস্তবে পোশাকখাত ও মালিকদের উন্নয়ন হলেও উন্নতি হয়নি শ্রমিকের জীবন মানের। বাজারে ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে মাত্র আট হাজার টাকায় সস্তা মজুর হিসাবে পোশাক শ্রমিকরা নিদারুন সময় পার করছে। নেতৃবৃন্দ এসময় অবিলম্বে রানা প্লাজার দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিপূরণ আইন বদল এবং বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানান।

মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে আগামী ১ ও ২ এপ্রিল রাজধানীর শাহাবাগ মোড়ে, ৭ থেকে ১৫ এপ্রিল দৃক গ্যালারিতে এবং ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজার সামনে র‍্যালিসহ শ্রদ্ধা, প্রতিবাদ ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে। এছাড়াও এই আয়োজনের সাথে প্রতিবাদ র‌্যালি, আলোচনা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাংকন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনও চলবে বিভিন্ন অঞ্চলে।

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ