• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে যেভাবে রাজসিক বিদায় জানানো হবে

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৩, ০৩:০৯ এএম

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে যেভাবে রাজসিক বিদায় জানানো হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কর্মকালিন মেয়াদকাল। সোমবার দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিবেন মো. সাহাবুদ্দিন। 

আগামীকাল নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথ পাঠ করাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্টজনেরা।

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাজসিক বিদায় জানাবে বঙ্গভবন।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, বিদায় অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। 

বিদায় বেলায় প্রেসিডেন্টের গার্ড রেজিমেন্টের একটি সুজ্জিত দল বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল মাঠে গার্ড অব অনার দেবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবদুল হামিদকে; বঙ্গভবনের প্রধান ফটকে তাকে দেওয়া হবে স্যালুট গার্ড। সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী তাকে পৌঁছে দেওয়া হবে নতুন ঠিকানায়।

দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বঙ্গভবন ছেড়ে আবদুল হামিদ উঠবেন রাজধানীর নিকুঞ্জে তার নিজের বাড়িতে।

বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, বিদায় অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হবে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায়। গার্ড অব অনার দেওয়ার পর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি পুষ্পসজ্জিত খোলা জিপে বক ফোয়ারা থেকে বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত যাবেন। সেখানে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে সামরিক কায়দায়।

বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা দুই দলে ভাগ হয়ে গাড়ির সামনে দড়ি ধরে দাঁড়াবেন। তারা দড়ি ধরে এগিয়ে গেলে পেছনে পেছনে যাবে গাড়ি। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পিজিআর সদস্যরা এ সময় ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেবেন।

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ব্যান্ড দল এবং অশ্বারোহী দল অংশ নেবে রাষ্ট্রপতি হামিদের বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায়।

বঙ্গভবনের প্রধান ফটক থেকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের তত্ত্বাবধায়নে ভিভিআইপি গাড়িতে মোটর শোভাযাত্রা করে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে নিকুঞ্জে তার বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন কাটিয়ে আসা কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের সন্তান মো. আবদুল হামিদ প্রথম দফায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ২১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। 

এর আগে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে সাতবার আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে রাষ্ট্রের এক নম্বর ব্যক্তি হয়ে বঙ্গভবন ছাড়ছেন তিনি। তবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে গেলেও আইন অনুযায়ী অবসর ভাতা, চিকিৎসাসুবিধাসহ অন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন তিনি।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ