প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত ও সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাতে অংশ নিতে সকাল ৬টার আগে থেকেই জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে ৬টায় মসজিদের ভিতরে মুসল্লি কানায় কানায় ভরে যায়।
এদিকে ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই পুলিশ তল্লাশি করেন।
চতুর্থ জামাত : সকাল ১০টায়
চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক, পেশ ইমাম বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ। মুকাব্বির থাকবেন মো. শহিদ উল্লাহ, চিফ খাদেম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত : সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে
সর্বশেষ এ জামাতে ইমাম হিসেবে থাকবেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম, পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ। মুকাব্বির থাকবেন হাফেজ মো. জাহিনুল ইসলাম, খাদেম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ।
ঈদের প্রধান জামাত
বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হবে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ইদগাহ মাঠে, সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অন্য কোনো কারণে সেটি সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন। এ জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ঈদ জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ইদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ইদগাহ মাঠ পরিদর্শন করে জঙ্গি হামলাসহ অন্যান্য নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই বলে আশ্বস্তও করেছেন।
জেকেএস/