• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

ঈদযাত্রায় বাসে ৬০০ টাকার ভাড়া ১১০০ টাকা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৩, ১২:৫১ এএম

ঈদযাত্রায় বাসে ৬০০ টাকার ভাড়া ১১০০  টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে ছুটছেন রাজধানীবাসী। তাই ঘরে ফেরার টানে মহাসড়কগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। তবে বাস ভাড়া বাড়তি নেয়ার অভিযোগ ঘরমুখো মানুষের।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়া প্রান্তে দেখা যায় ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল। বাস দেখা মাত্রই ওঠার জন্য ছুটছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, এবার বাসের সংখ্যা খুবই কম। বাস পাওয়া যাচ্ছে না। একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যেগুলো আসছে, সবগুলোই যাত্রী বোঝাই।

বাস দেখা মাত্রই ওঠার জন্য ছুটছেন যাত্রীরা।

মাসুদ রানা নামে এক যাত্রী বলেন, প্রথমে একটি গাড়িতে টিকিট কাটলেও, কাউন্টার থেকে পরে বলা হয় বাস নেই। নিরূপায় হয়ে আরেকটি বাসের ৬০০ টাকার টিকিট কাটতে হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

রাশিদ বেগম বলেন, ঢাকা থেকে টেকেরহাট যেতে নরমালি ভাড়া লাগে ৩০০ টাকা। এখন ভাড়া লাগছে ৫০০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, সরকার তো ঈদ উপলক্ষে তেলের দাম বাড়ায় নাই, বাসের ভাড়া বাড়ায় নাই। এরপরও বাসের ভাড়া বেশি নিচ্ছে। এভাবে চললে সাধারণ মানুষ ঈদ করবে কীভাবে?

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন বাস চালক ও সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, বাসের ভাড়া কোথাও বাড়তি নেয়া হচ্ছে না। আর যাত্রীদের চাপও এবার তেমন নেই বলে জানান তারা।

যাত্রীদের ডেকে ডেকে বাসে তুলছেন হেলপার।

বাস চালক জয়নাল বলেন, বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। ন্যায্য ভাড়াই নেয়া হচ্ছে।

টিকিট চেকার গোলাম কিবরিয়া বলেন, এবার গরমের কারণে যাত্রীর চাপ অনেক কম। অনেকেই হয়তো ঢাকায় ঈদ করার কথা ভাবছেন। এছাড়া গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়ায় চাপ অতটা বোঝা যাচ্ছে না।

ভাড়া বেশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাড়া বেশি না। উল্টো গাড়িগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৮-১০ টাকা কম নিচ্ছে। মাদারীপুরের ভাড়া পড়ে ৪০৮ টাকা। তবে গাড়িগুলো ভাড়া নিচ্ছে ৪০০ টাকা।

এছাড়া পরিবহনগুলো সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী চলছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, এরপরও আমরা প্রতিটি গাড়ি চেক দিচ্ছি। যাত্রীদের অভিযোগ থাকলে সেটি মালিক পক্ষকে জানানো হচ্ছে।

ঈদে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর বিষয়ে বাসচালক সাইফুল বলেন, মোটরসাইকেল চালু হলে যাত্রীর চাপ কিছুটা কমবে। এতে আমাদের আয় কমে যাবে।

মাওয়া প্রান্ত থেকে বাইকাররা ফেরি দিয়ে পার হচ্ছেন।

মোটরসাইকেল আরোহী আশরাফুল আলম বলেন, বাসে তীব্র চাপ থাকে, সঙ্গে ভাড়াও বাড়তি। এতে কষ্ট করে বাসে যাওয়ার চেয়ে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রাই আনন্দদায়ক।

 
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) থেকে পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হচ্ছে। কিন্তু ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দেরি করতে চাই না। তাই আগেই চলে যাচ্ছি ফেরি পার হয়ে। ফেরার সময় ইচ্ছা আছে সেতু দিয়ে আসার।

মাওয়া সেতু উত্তর থানার ইন্সপেক্টর মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত যাত্রী তীব্র চাপ পড়েনি। তবে ধীরে ধীরে চাপ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এডিএস/

আর্কাইভ