
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
ডাকাতি করাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পটুয়াখালীর বাউফলের প্রভাবশালী নেতা আমিনুল ইসলামের নেশা ও পেশা। রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি। গতকাল শনিবার (০৮মার্চ) তাদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়।
গ্রেফতার ছয় জনের মধ্যে আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের নতুন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মৃধার ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন, সুমন মোল্লা পাশের গ্রাম `আয়নাবাজ কালাইয়ার` বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লার ছেলে। তিনি আবার ৪নং শ্রমিক দলের সহ-দফতর সম্পাদক।
ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল এরআগে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলো। একের পর এক ডাকাতির ঘটনার পর জেলা পুলিশের কয়েকটি টিমের যৌথ তদন্তে আন্তঃবিভাগ ডাকাল দল শনাক্ত হয়। অভিযান চালিয়ে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর আমিনুলসহ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ডাকাত দলকে আশ্রয় দেয়াসহ অস্ত্রের জোগানদাতাও ছিলেন আমিনুল। একাধিক ডাকাতির নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে এ অভিযোগ স্বীকার করেছিল আমিনুল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনের আলোয় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে ব্যস্ত থাকতেন আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচিত ও প্রভাবশালী নেতা তিনি। এদিকে, তার সাথে সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, আ`লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ফিরোজ পুত্র রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী নেতার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
পটুয়াখালী এবং ঢাকায় দুইবার গ্রেফতারের সময়ই ডাকাত আমিনুল গংদের থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল ইসলাম "সিটি নিউজ ঢাকা " কে জানান, আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
![]() | ![]() ![]() | ![]() | ||
![]() | ![]() | ![]() | ||
![]() ![]() | ![]() ![]() | |||
![]() |
| ![]() |