প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩, ১১:২৫ পিএম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা নতুন ১২টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
প্রাথমিক তালিকায় থাকা দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী থেকে বেরিয়ে আসাদের গড়া দল আলোচিত এবি পার্টি, আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের গণঅধিকার পরিষদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও রয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।
ইসির সংক্ষিপ্ত তালিকায় আসা বাকি দলগুলো লেবার পার্টি, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, ডেমক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নিবন্ধন চালুর পর বর্তমানে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়। নতুন কোনো দলকে নিবন্ধন পেতে হলে শেষ শর্তটিই পূরণ করতে হয়।
২০০৮ সালে প্রথম নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। নবম সংসদের আগে ১২৬টি দল আবেদন করলেও শর্তপূরণ করে ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ৪৩টি দল আবেদন করে। আরও তিনটি দল ২০১৩ সালে নিবন্ধন পায়।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৭৬টি দল আবেদন করলেও একটি দলও নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়নি। অবশ্য, আদালতের আদেশে তখন দু’টি দল নিবন্ধন পায়।
সবমিলিয়ে ৪৪টি দল নিবন্ধন পেলেও ফ্রিডম পার্টি, জামায়াতে ইসলাম, জাগপা, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন বাতিল হয়। এখন ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতবছর নিবন্ধন পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে ৯৩টি রাজনৈতিক দল। পরে আবেদন করা দলের নথিপত্র যাচাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। বর্তমানে ওই তালিকায় থাকা এই ১২ দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ে নামবে কমিশন। এখন কমিশনের অনুমোদন পেলে দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে চিঠি যাবে ইসির মাঠ কার্যালয়গুলোয়।