• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

দেশে সবচেয়ে বেশি কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০২:১৪ এএম

দেশে সবচেয়ে বেশি কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পিইসি (শুমারি-পরবর্তী যাচাই) নতুন জরিপ অনুসারে দেশে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে যারা ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী।

দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনের মধ্যে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৭৫ জনই ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী, শতাংশের হিসাবে যা ১০.১০। এর পরই আছে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী, যাদের সংখ্যা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৬৮২ জন। শতাংশের হিসাবে ৯.৯২।

আর সবচেয়ে কম ৭০ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা। যার সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা ২৯ লাখ ২০ হাজার ৪৯৮ জন। শতাংশের হিসাবে ১.৭২।

রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এতে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনাকৃত ও পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।

দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। যার মধ্যে গ্রামে বাস করে ১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ২৪৫ জন ও শহরে ৫ কোটি ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭১ জন। যার মধ্যে ৬৮.৩৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৩১.৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। পিইসিতে প্রাপ্ত ২.৭৫ শতাংশ বাদ পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় বিভাগ ঢাকার গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন; সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা হলো ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন, যা দেশের মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ২৬.৮৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে, মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ৫.৪৯ শতাংশ।

প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন। নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং হিজড়া ১২ হাজার ৬২৯ জন।

পিইসি নতুন জরিপ অনুসারে ২.৮১ শতাংশ বেড়ে সমন্বয়কৃত পুরুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জনে। আর নারী ২.৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জনে। অর্থাৎ, পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৭ জন বেশি।

দেশে মুসলিম জনসংখ্যা ১৫ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৮ জন থেকে বেড়ে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৭৮ জন হয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ১ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫১১ জন থেকে বেড়ে ১ কোটি ৫২ লাখ ৮৭৬ জন, যা মোট জনসংখ্যার ৮.৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যালান্স পপুলেশন ৮৫ হাজার ৯৫৭ জন, যা মোট জনসংখ্যার ০.০৫ শতাংশ।

দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। হিজড়া জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তার শতাংশ হিসাব করা সম্ভব হয়নি।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এ ১৭ হাজার ৫০৭টি খানার ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জনসংখ্যারও শতাংশ হিসাব করা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদের ব্যালান্স পপুলেশন হিসেবে গণনাকৃত ও সমন্বয়কৃত উভয় অংশে যোগ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিআইডিএসের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষকরা।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ