• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

চলতি বছরেই দৈনিক ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০২:৫১ পিএম

চলতি বছরেই দৈনিক ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি বছরই সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি চারটি কূপ থেকে দৈনিক পাঁচ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পরিত্যক্ত ঘোষণার পাঁচ বছর পর ওয়ার্কওভারের ঠিক দুই মাসে ১০ নভেম্বর বিয়ানীবাজার-১ নম্বর কূপ গ্যাস প্রাপ্তির জানান দেয়। এই কূপ থেকে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে বাপেক্সে ২০টি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১২টি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১৪টি কূপ খনন, পুনর্খনন ও উন্নয়নের মাধ্যমে দৈনিক ৬১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে।

সিলেট থেকে গ্যাস সরবরাহের টার্গেট:
সিলেটের ১০ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক এক কোটি ঘনফুট গ্যাস, কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ থেকে দুই কোটি ঘনফুট, কৈলাশটিলা ২ নম্বর কূপ থেকে এক কোটি ও রশিদপুর ৯ নম্বর কূপ থেকে এক কোটি ঘনফুট সব মিলিয়ে সব মিলিয়ে দৈনিক পাঁচ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহের ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ থেকে ২১ মিলিয়ন, সিলেট ১০ নম্বর কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন, কৈলাশটিলা ২ থেকে আমরা ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ও রশিদপুর ৯ নম্বর কূপ থেকে ১৫ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদনের টার্গোট রয়েছে এ বছরে।

এ ছাড়া ২০১৮ ও ২০২১ সালে স্থাপিত সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির অত্যাধুনিক রশিদপুর ফ্রেকশিনেশন প্ল্যান্টে বিভিন্ন সিলেট গ্যাস ফিল্ডের বিভিন্ন কূপ থেকে উপজাত হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে এক লাখ ১২ হাজার লিটার কনডেনসেট। আর বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ লিটার কনডেনসেট পরিশোধন করে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও এলপিজি বাজারজাত করছে।

মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, নিজস্ব উৎপাদনে প্রতিদিন ৭০০ ব্যারেল আর ৩৫০০ ব্যারেল আমরা বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাচ্ছি। এ ছাড়া রশিদপুরে আমাদের চার হাজার ব্যারেল একটা প্লান্ট আছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনর্খনন কাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। কূপে গ্যাসপ্রাপ্তি নিশ্চিতের পর গত ১০ নভেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

আর্কাইভ