প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৫:২৮ এএম
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দারিদ্র্যের হার মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের বেশি থেকে এখন ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বে আমরা ৩৫তম জিডিপির দেশ আর পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা পিপিপিতে আমাদের অর্থনীতি হচ্ছে ৩১তম। এখন জিডিপির আকারে মালয়েশিয়ার চেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ আমরা এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের দেশ ২৭তম অর্থনীতির দেশ হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিএফডিসি চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তথ্যমন্ত্রী দিবসটির সূচনা করেন।
এর পর শিল্পী-কুশলীদের সঙ্গে র্যালিতে অংশ নেন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। চলচ্চিত্র তারকা রোজিনা, অঞ্জনা, পরিচালক কাজী হায়াৎ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, শিল্পী-কলাকুশলী ও কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নতির পাশাপাশি মানুষের আত্মিক উন্নতিও প্রয়োজন। আত্মিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে চলচ্চিত্র। এমন সিনেমা বানানো হোক, তা যেন মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে পারে এবং তা বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখে, মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে। তবে এ সময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন (আইপি টিভি) এবং ইউটিউব চ্যানেলে কোনো সংবাদ প্রচার করা যাবে না। আইপি টিভি ও ইউটিউবে সংবাদ প্রচার বন্ধে আজকালের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তরুণ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বিল উত্থাপন করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন, সংস্কৃতির সব শাখার সন্নিবেশে যা সৃষ্টি হয়, সেটি হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে গান থাকে, নৃত্য থাকে, চলচ্চিত্র সব শাখার সন্নিবেশ ঘটায়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার দেশের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এজন্য তার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিনেমা হল নির্মাণ এবং পুরোনো হল সংস্কারের জন্য সহজ শর্তে এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেকে সিনেপ্লেক্স চালু করেছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলও চালু হয়েছে। চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ ও সংখ্যা দুই-ই বেড়েছে।
এফডিসিতে নতুন দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে চারটি শুটিং স্পট থাকবে। এছাড়া ১০০ একর জায়গায় চলচ্চিত্র নির্মাণের সব সুবিধা সৃজন করা হচ্ছে।
বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, পরিচালক মতিন রহমান এবং প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।