• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কখনও অসম্মান করিনি বঙ্গবন্ধুকে: অধ্যাপক ইমতিয়াজ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০৫:২৯ এএম

কখনও অসম্মান করিনি বঙ্গবন্ধুকে: অধ্যাপক ইমতিয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ১৪ বছর আগে লেখা তার বই নিয়ে বিভিন্ন মহলের তোলা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এই ধরনের অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে তার বইটি ভুলভাবে পড়া হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এক বিবৃতিতে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘সমাজের কিছু নাগরিকের অভিযোগে আমি সত্যিই আতঙ্কিত... এই অভিযোগে আমি বিস্মিত হয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেছেন, ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’ বইয়ে আমার লেখা পড়ার ক্ষেত্রে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তার বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি অসম্মানজনক শব্দও নেই। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মাস্টার স্ট্রোক অব পলিটিক্যাল জিনিয়িাস’ এবং ‘কল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোনো অসম্মান করেননি উল্লেখ করে অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, ৭ মার্চ না হয়ে ২৬ মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, বইটিতে তার ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্ব খাটো করতে তার সেই লেখা ব্যবহৃত হওয়ায় তা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে।

অধ্যাপক ইমতিয়াজ ১৯৭১ সালের গণহত্যায় ত্রিশ লাখ মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে বিতর্কের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটা ‘আমার দৃষ্টিভঙ্গির সম্পূর্ণ বিকৃতি’।

একাত্তরের গণহত্যা খাটো করার কোনো প্রয়াস চালাননি দাবি করে অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, পাকিস্তানিরা কত সংখ্যক বাঙালিকে হত্যা করেছিল, সে বিষয়ে বিভিন্ন গবেষকের বিভিন্ন তথ্য থাকার বিষয়টি বইয়ে শুধু উল্লেখ করা হয়েছিল।

এই বইটি পাকিস্তান নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল এবং এর লেখক হিসেবে তাকে ২০১৪ সালে করাচি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে যেতে বাধা দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ।

ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, ১৯৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি বুকলেট প্রকাশনায় তিনি কাজ করেছেন। অধ্যাপক ইমতিয়াজ ‘দ্য ওয়াকিং মিউজিয়াম ইন ডিইউ’ তৈরিতেও অবদান রেখেছেন।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিচার শুরু করা এবং এর বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টার জন্য নিবেদিত এত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তি কীভাবে ১৯৭১-এর গণহত্যাকে অস্বীকার করতে পারে?

তিনি বলেন, ২০২২ সালে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি’ বিষয়ক প্রকাশনার একটি চ্যাপ্টারে অবদান রাখার পরও একজন ব্যক্তি কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করতে পারে।

আর্কাইভ