• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

১০ জোড়া যমজ ভাইবোন একই স্কুলে পড়ছে

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম

১০ জোড়া যমজ ভাইবোন একই স্কুলে পড়ছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদরের মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলে পড়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন। একসঙ্গে বেড়ে ওঠা আর খুনসুটি করেই পার হয়ে যায় তাদের পুরো সময়। এ দিকে এক বিদ্যালয়ে এত যমজ ভাই-বোন পড়াশোনার বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়েই আলোচনায় থাকে।

প্রায় শতবর্ষী স্কুলে ২০ জন যমজ ভাই-বোন পড়াশোনার পাশাপাশি একসঙ্গে খাওয়া, খেলাধুলা করাসহ তারা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আশপাশে। একই সময়ে পৃথিবীতে আলো দেখা, আর জীবনের পথচলায় একই রকম দেখতে, একই ভালো লাগা আর খারাপ লাগাগুলো আকৃষ্ট করে সবাইকে।

সদরের মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণিতে আবিদ-অমিত ও রাহুল-চঞ্চল রাহা।

যমজ ভাই-বোনদের চেহারায় মিল থাকায় তাদের নিশ্চিত করতে খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের সাথে নিয়ে বেশ উপভোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দু’জন একসাথে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সাথে দেখছেন যমজ ভাই-বোনরা।

যমজ ভাই-বোনদের চলা-ফেরা খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে অনেক আচরণেই বেশ মিল থাকে। একজনের প্রতি আরেকজনের টানও অন্যদের চেয়ে বেশি। ষষ্ঠ শ্রেণীর যমজ দুই ভাই সান ও মুন জানায়, আমরা দুই ভাই একসঙ্গে সব কাজ করি।

খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা যাওয়া একসঙ্গে করি। আমাদের দু’জনের পছন্দ মাংস ভাত। শুধু দু’জনের দুই রঙ পছন্দ। একজনের লাল আরেকজনের নীল। আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যাই। শুধু পোশাক না আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব এ করকম।

এতে আমাদের খুব ভালো লাগে। তবে অনেকেই আমরা কে কোনটা চিনতে পারে না। আমরা এ বিষয়টাকে আরও বেশি উপভোগ করি। আমরা দুই ভাই অনেক আনন্দ করি একসঙ্গে। বাড়িতে একসঙ্গে পড়তে বসি। আমাদের বাবা-মা ও পরিবার সবাই আমাদের নিয়ে খুশি।

সপ্তম শ্রেণীর যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া জানায়, আমাদের সব কাজ আমরা একসাথে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ হল নীল। আমরা একসঙ্গে স্কুলে আসি। একসাথে ক্লাসে বসি। টিফিনের সময় আবার একসঙ্গে খেলাধুলা করে থাকি। সব কাজগুলো আমরা একসঙ্গে করি।

নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশি জানান, আমাদের বড় সুবিধা হলো কেউ কোনো ভুল করলে আরেকজনকে চাপিয়ে দেয়া যায়। পরে আবার আমরা একসাথে মিলে যাই। পরিবারের কাছে, স্বজনদের কাছে ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পাই। আমরা আমাদের পুরো সময়টা একসঙ্গে কাটাই। আমরা যমজ হয়ে অনেক খুশি।

মথুরাপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের স্কুলে ২০ জন যমজ ভাই-বোন পড়ে। আমরা তাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। তাদের শ্রেণীকক্ষের মেধাক্রম কাছাকাছি। এটা স্কুলের জন্যও গর্ব যে, তারা আমাদের স্কুলে পড়ছে। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

 

এএল/

আর্কাইভ