• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রোজার শুরুতেই সবজির দাম আকাশছোঁয়া

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

রোজার শুরুতেই সবজির দাম আকাশছোঁয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতেই আরেকদফা বাড়লো সবজির দাম। রমজানে যে কটি সবজির চাহিদা বেশি সেগুলোকে টার্গেট করে দাম বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ইফতার ও শরবতে ব্যবহৃত বেগুন, শসা ও লেবুর দাম আকাশছোঁয়া। ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বেগুন, শসা ৮০-১০০ টাকা। ছোট সাইজের লেবুর হালি ৫০-৬০ টাকা, বড় সাইজের লেবুর হালি ৮০-১০০ টাকা। শুক্রবার প্রথম রোজার দিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে মাছের দামও কেজিতে ২০-৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্রয়লার মুরগির দামও ত্রিপল সেঞ্চুরির পথে।  

মোহম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা।

শসা ও লেবুর দাম হাঁকানো হচ্ছে বেশি। হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা আর দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। ছোট সাইজের  লেবুর হালি ৫০-৬০ টাকা। বড় সাইজের লেবুর হালি ৮০-১০০ টাকা। কাঁচা মরিচ নিয়ে চলছে আরেক নৈরাজ্য।  ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মরিচ।

প্রতি কেজি ছোলা ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এংকার ডাল কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৫০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা। গত সপ্তাহের মতো এবারো স্থিতিশীল রয়েছে ছোলা ও বেসনের দাম।
তবে দাম বেড়েছে খেসারি ডালের দাম। গত সপ্তাহে খেসারি ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজিতে।

বাজারে আসা এক ক্রেতা রাকিব জানান, রমজানের প্রথম দিনেই বেগুনের দাম বেড়েছে। শসার দামও অতিরিক্ত চাওয়া হচ্ছে। এখন ইফতারিতে তো এসব লাগবেই, তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।
রমজানকে টার্গেট করে বেড়েছে সবধরনের মাছের দর। প্রত্যেক মাছেই কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে একদিনের ব্যবধানে। আর মুরগির বাজারকে দেখার মতো কেউ নেই বলে আক্ষেপ ক্রেতাদের। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৪০ টাকা করে।

বেসন বিক্রি হচ্ছে ডালভেদে ৯৫ কেজি ১২০ টাকা। বুটের ডালের বেসন ৯৫ টাকা ও মুগ ডালের বেসন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট ও পণ্য আমদানি বন্ধসহ নানা অজুহাতে রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক দফায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে বাড়তি দামের বোঝা বইতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় নিম্নআয়ের মানুষদের।

 

এএল/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ