প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ১২:২১ এএম
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি ও বহুল আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে আটক করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আটকের বিষয়টি দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, দুবাইয়ের পুলিশ আরাভ খানকে আটক করেছে বলে আমাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। বর্তমানে আরাভ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুবাই পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেছেন, এনসিবি দুবাইয়ের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ই-মেইল পাওয়ার আগে আমরা বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারছি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ সদর দপ্তরের একটি টিম অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেবে। এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তথ্য জানতে চেয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ইন্টারপোল সেই আবেদন গ্রহণ করেছে।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার মরদেহ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মামলাটি তদন্ত করে পরের বছরের এপ্রিলে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি। অভিযোগপত্রে পুলিশ উল্লেখ করে, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করত।
২০১৯ সালের এপ্রিলে পুলিশ মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় রবিউল সহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে রবিউল ছাড়াও আরও নয়জনকে আসামি করা হয়।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর হত্যা মামলাটিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর রবিউল ইসলাম পরিচয় দিয়ে একজন ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। প্রায় ৯ মাস কারাভোগের পর ওই যুবক দাবি করেন, তিনি আসল রবিউল ইসলাম নন, তার প্রকৃত নাম আবু ইউসুফ। রবিউল ইসলামের কাছ থেকে মাসিক নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসামির পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর মধ্যে রবিউলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন তারকাকে আমন্ত্রণ জানানোর পর থেকে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
আরাভ জুয়েলার্স নামে যে প্রতিষ্ঠানের মালিকের আমন্ত্রণে সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমরা দুবাই যান সেই আরাভ খান মূলত রবিউল ইসলাম। তিনিই ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল