প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম
ভূমিকম্প সহনশীলতা প্রকল্পের আওতায় যে ৪২টি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করতে হবে। ভেঙে ফেলতে হবে ৩ মাসের মধ্যে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সরকারি ও স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর ভূমিকম্প সহনশীলতা প্রকল্প (আরবান রেজিলিয়েন্স) এর আওতায় ২ হাজার ৭০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭টি হাসপাতাল, ৩৬টি থানা ও ৩০৪টি অন্যান্য ভবনের জরিপ চালানো হয়। এসব ভবনের মধ্যে ৫৭৯টির ‘প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ (পিইএ) করা হয়। এতে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে রিপোর্ট দেয়া হয়।
মালিকরা নিজ উদ্যোগে এই ভবন আগামী তিন মাসের মধ্যে না ভাঙলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এসব ভবন ভেঙে দেবে। সে ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করা হবে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ১৮৭টি ভবনকে ‘ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ করে সেগুলো মজবুত (রেক্টিফাই) করতে প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হবে। নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
রাজউকের এলাকা ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার। এতে ছোট-বড় ভবন ও স্থাপনা আছে ২১ লাখের বেশি। এর মধ্যে নরম ও শক্ত মাটিতে কী পরিমাণ স্থাপনা আছে, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত রাজউকের এক জরিপের তথ্যমতে, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও পল্লবীর ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভবন; রামপুরা, মতিঝিল ও খিলগাঁওয়ের প্রায় ৯৭ শতাংশ ভবন; ধানমন্ডির প্রায় ৮৯ শতাংশ ভবন রাজউকের নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
আরিয়ানএস/এএল