ছবি: সংগৃহীত
আদালত প্রতিবেদক
রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিন চুপপুর নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি বিব্রত বোধ করেন।
বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হওয়ায় তিনি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। একপর্যায়ে রিট আবেদন শুনানি না করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দেন আদালত। এ সময় আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী সময়ে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ রিট আবেদন করেন এম এ আজিজ খান। ওই সময় এম এ আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই ঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হতো না। কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুদক আইন, ২০০৪-এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এই আইনজীবী।
আরিয়ানএস/এএল
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন